ব্লগিং করবেন নাকি ইউটিউবিং করবেন।


www.techsarwer.com

আসসালামু আলাইকুম। 

সবাই কেমন আছেন আশা করি সকলেই ভাল আছেন আমিও অনেক ভালো আছি। অনেকদিন পর আজ একটি পোস্ট লিখতে বসলাম আশা করি পোস্টটি আপনাদের উপকারে আসবে।


তো চলুন কথা না বাড়িয়ে সরাসরি চলে যাই আমাদের নির্ধারিত টপিকে।

অনলাইনে ইনকাম মাথায় আসলেই যে দুটি জনপ্রিয় মাধ্যম আমাদের সামনে চলে আসে সেগুলো হচ্ছে ব্লগিং কিংবা ইউটিউব।

এ দুটো মাধ্যমগুলোর মধ্যে আমরা অনেকেই ব্লগিং কে প্রাধান্য দেই আবার অনেকে ইউটিউবকে বেস্ট মনে করি আমার আজকের পোস্টে আপনাদের ওই বিষয় নিয়ে কিছু ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব আশা করি পোস্টটি থেকে কিছু জানতে পারবেন।

ব্লগিং কিংবা ইউটিউবে আপনি যাই করেন না কেন। প্রথমে বলে রাখি ধৈর্য প্রবল ইচ্ছাশক্তি কাজের প্রতি ভালোবাসা এই গুণগুলি না থাকলে আপনি পথের শুরুতেই থেমে যেতে পারেন। অন্যান্য কাজ যেমন করাটা কঠিন ঠিক তেমনি অনলাইনে সঠিক উপায়ে উপার্জন করা অনেক কষ্টকর তবে আপনার এ কষ্ট গুলো কিন্তু ঠিকই কাজে আসবে একদিন না একদিন।

ব্লগিং ...

প্রথমে যারা ব্লগিং করতে আগ্রহী তাদের জন্য কিছু কথা বলে নেই।

যারা লেখালেখি পছন্দ করেন বিভিন্ন টপিক নিয়ে লেখার ইচ্ছা আছে কিংবা ইউটিউবে ভিডিও তৈরি করার জন্য তেমন একটা আগ্রহ নেই।

তারা চাইলে ব্লগিং শুরু করতে পারবেন। নিজের পছন্দের টপিক নিয়ে খুব সহজেই ব্লগস্পটে গিয়ে অ্যাকাউন্ট করেই আজ থেকেই লেখালেখি শুরু করে দিন।

ব্লগিং শুরু করার প্রথম দিকে সাধারণত ওয়েবসাইটগুলোতে ভিজিটর সংখ্যা কম হয়ে থাকে এবং আপনারা যদি দুইটি পোস্ট দিয়ে বসে থাকেন এবং ভাবেন আমাদের পোস্টে কেন ভিউ কম আসে। আমাদের দিয়ে ব্লগিং হবে না এগুলো যদি আপনারা ভেবে থাকেন তাহলে কিন্তু আপনারা কখনোই সামনের দিকে যেতে পারবেন না।

আসলে নতুন ওয়েবসাইট সম্পূর্ণরূপে দাঁড়াতে কমপক্ষে এক দু বছর সময় লেগে থাকে এই সময়ের ভিতর আপনারা যদি বেশি পরিমাণে পোস্ট দেন। প্রতিদিন নিয়মিত পোস্ট দেন তাহলে আপনাদের ওয়েবসাইটটি রেঙ্ক করার সম্ভাবনা কিন্তু অনেক বেশি। সুতরাং আপনারা হাল ছেড়ে না দিয়ে চেষ্টা করে যান অবশ্যই আপনার একদিন সফল হবেন।

এবার আসি ব্লগ থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করবেন কতদিন কাজ করতে হবে।

আপনার ওয়েবসাইটে গুগল এডসেন্স এপ্রুভ
পাওয়ার পরপরই কিন্তু আপনার ওয়েবসাইটে কিছু এড প্রদর্শিত হবে এবং এই বিজ্ঞাপন গুলো থেকেই আপনার টাকা ইনকাম হয়।

আসলে ব্লগের 10 15 টি পোস্ট দিয়েও এডসেন্স এপ্রুভ এর জন্য আবেদন করতে পারবেন তবে আপনার ভিজিটর এর উপর নির্ভর করে আপনার ইনকাম এবং অ্যাডসেন্সে এপ্রুভ পাওয়াটা।

সাধারণত দুই তিন মাস কাজ করে 30-40 টি দিয়ে যখন ব্লগে ভিজিটর এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে তখন আপনার ব্লগ থেকে ভালো ইনকাম আশা করা যায়। সুতরাং মনে রাখবেন ভিজিটর উপর আপনার ইনকাম পুরপুরি নির্ভর করে।

ইউটিউবিং. .. 


এবার আসি ইউটিউবিং নিয়ে ইউটিউবে হচ্ছে বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি প্লাটফর্ম।
যেখানে আপনি আপনার নিজের প্রতিভা কিংবা যে টপিক ভালো লাগে তা নিয়ে কাজ করে অনলাইনে ইনকাম এবং নিজের একটি পরিচিতিও একসাথে তৈরি করে নিতে পারেন।
বেকার যুবক সহ ছাত্র-ছাত্রীরাও এ প্লাটফর্মে এসে কাজ করে এখান থেকে বিভিন্ন রকম সুযোগ-সুবিধা পেতে পারেন।

ইউটিউবে এডসেন্স পেতে 1000 সাবস্ক্রাইবার এবং 4000 ঘন্টা ওয়াচ টাইম পূর্ন করার পর অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভ করে। তারপর থেকে আপনার ইনকাম শুরু হয়ে যাবে।


ওয়েব সাইটের মত ইউটিউব এর প্রথম দিকে আপনারা খুব বেশি পরিমাণে সাবস্ক্রাইবার এবং ভিউ পর্যাপ্ত পরিমানে নাও পেতে পারেন কিন্তু তাই বলে হতাশ হয়ে যাবেন না আপনার ভিডিও কোয়ালিটি ভালো রেখে নিয়মিত ভিডিও আপলোড দিয়ে যান অবশ্যই আপনার এই চ্যানেলটির নিয়ে একদিন অনেক দূর জেতে পারবেন।

মুলকথা ভিডিও নিয়মিত আপলোড ও প্রবল ইচ্ছাশক্তি দিয়ে কাজ করলে ইনশাল্লাহ একদিন সফল হবেন।

অবশেষে একটি কথা আপনার কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ সময় থাকে তাহলে আমি আপনাদের ইউটিউব সাজেস্ট করবো। কারণ ইউটিউব এ ভিডিও বানানো এবং ওই ভিডিওগুলি এডিট করার জন্য আপনাদের অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণ সময় প্রয়োজন

দিন দিন এই প্ল্যাটফর্মের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এখন কেউ কিছু জানতে চাইলে সরাসরি ইউটিউবে সার্চ দেয় কারণ মানুষ পড়ার চেয়ে দেখতে ও শুনতে বেশি ভালবাসে।

তাছাড়া আপনারা চাইলে ব্লগিং ও ইউটিউবিং
দুটোই একসাথে করতে পারবেন।এক্ষেত্রে যে সুবিধা পাবেন তাহলো ব্লগিং এর জন্য লেখা পোস্ট দিয়ে কিন্তু ইউটিউবের জন্য ভিডিও বানাতে পারবেন। একঢিলে দুই পাখি শিকার যাকে বলে।তো আশা করি এ বার আপনারা একটি সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন ব্লগিং করবেন নাকি ইউটিউবিং করবেন।

ভাল থাকবেন সবাই সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি আল্লাহ হাফেজ।


(★ সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি তাই গাড়ি চালানোর সময় অবশ্যই প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব পরিহার করুন★)



Previous
Next Post »